গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়ছে দেশ। তাপমাত্রা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এমন অস্বস্তিকর অবস্থায় মুমিনদের জন্য রয়েছে সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ।
যেসব আমল
রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস মাহে রমজান। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে এবারের রমজানের ২০ দিন। তবে রমজানের শেষের ১০ দিনের বেজোড় রাতের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। শেষ দশকের যেকোনো এক বিজোড় রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। বিভিন্ন হাদিসে এই বিজোড় রাতে শবে কদরের সন্ধানও করতে বলা হয়েছে।
ইসলামে জুমার দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। জুমার দিনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আমল সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলো—
জুমার দিন বা শুক্রবার সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এই দিনের মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি।
মহান আল্লাহ বিভিন্ন বাহানায় তাঁর বান্দাকে ক্ষমা করতে চান। তিনি ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। বান্দাকে শুধু সেই ক্ষমা পাওয়ার জন্য কোরআন-হাদিসের নির্দেশিত পথে নিজেকে পরিচালিত করতে হবে।
ইসলামে জুমাবার একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ প্রসঙ্গে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘দিবসসমূহের মধ্যে জুমার দিন শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)।
উম্মুল মু’মিনিন হজরত হাফসা রা: থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, চারটি আমল রাসূলুল্লাহ সা: নিয়মিত করতেন, কখনো ত্যাগ করতেন না। আমলগুলো হলো- ১. আশুরার রোজা; ২. রমজানের শেষদশকের ইতিকাফ; ৩. প্রতি মাসের তিন দিন তথা আইয়ামে বিজের রোজা ও ৪. ফজরের ফরজের আগের দু’রাকাত সালাত। (নাসায়ি, মিশকাত হাদিস নং-২০৭০)
প্রতিদিন আমাদের অনেক সময় নষ্ট হয়। একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে গড়ে দৈনিক আমাদের যানজটের কারণে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।
মুমিনের প্রতিটি কাজ ও মুহূর্ত আমল ও ইবাদত। যখন সবকিছু আল্লাহর হুকুম ও রাসুল (সা.)-এর সুন্নত অনুযায়ী হয়, তখন সবকিছু ইবাদতে পরিণত হয় এবং সওয়াবযোগ্য হয়। আল্লাহ তাআলা বান্দার জন্য এর সবকিছু পুণ্যময় করে দেন।